উল্টো আসামিদের রক্ষায় তাদের বাড়িতে পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত মিজানুর রহমান ওই এলাকার আলম মিয়ার ছেলে। তিনি ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে ছয়দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার বনশ্রী এলাকার ফরাজি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
জানা যায়, এলাকার শ্রমিক লীগ নেতা জাহিদুল, সিরাজ, রহিম, নাজমুল, সুজন, হƒদয়, মনসুরের সঙ্গে মিজানের ভাই মঞ্জুরুল আলমের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। জাল দলিল তৈরি করে জাহিদুলসহ তার সহযোগীরা ওই জমি দখল করে। এরই জেরে প্রতিপক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মঞ্জুরুল আলমের মাছের খামারে হামলা চালায়। এ সময় খামারে মঞ্জুরুল আলম ও তার ফুফাত ভাই পলাশকে কুপিয়ে আহত করে তারা।
পরে গুরুতর অবস্থায় মিজানুর রহমানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে তাকে ফরাজি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মিজানের ছোট ভাই মঞ্জুরুল আলম রূপগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। তাদের মামলা না নিয়ে হামলাকারীদের পক্ষ থেকে মামলা নেওয়া হয়। শনিবার দুপুরে মিজান মারা যাওয়ার পর পুলিশ নিহতের পক্ষের মামলা নেয়।
অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হোসেনের সঙ্গে আসামিদের দহরম-মহরম সম্পর্ক। তাই আসামিদের গ্রেফতার না করে তিনি তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই ঘটনা ছাড়াও স্থানীয় আফর উদ্দিনের ছেলে হামলাকারী জাহিদুল ও সিরাজের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি ও অন্যের জমি দখলসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, আসামিদের যে কোনো মূল্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে মামলার তদন্তের ভার অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এমএ/