পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ভাতিজা ও এক দুষ্কৃতকারীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। আহত অবস্থায় সবাই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলো।
আহতরা হলেন- বাসার মালিক চাচা এবিএম কামরুজ্জামান, তার স্ত্রী রানী, ছেলে সৌখিন, ভাতিজা সুলতান মাহমুদ শাওন, তার বন্ধু দুষ্কৃতকারী শাকিল। তারা সবাই শহরের নারুলী উত্তর চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বেলা ১১টার দিকে শহরের নারুলী টাউন ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিক বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দ্বিতল ভবনে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন কামরুজ্জামান। সেই ভবনের গ্রিল কেটে ভাতিজা সুলতান মাহমুদ শাওন ও তার বন্ধু শাকিল আহমেদ ভেতরে ডুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি চাচা কামরুজ্জামান, তার স্ত্রী ও ছেলেকে কোপাতে থাকে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনা ঘটে।
পরে তাদের চিৎকারে দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়ে দেয়।
দুষ্কৃতকারী শাকিল পুলিশি পাহারায় শজিমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বলেও জানান পুলিশের এসআই শফিক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি