মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ আপন মিয়াকে না পেয়ে স্বপন নামে তার এক ভাতিজাকে আটক করেছে।
পুলিশ বাংলানিউজকে জানায়, একই উপজেলার দাঙ্গাপ্রবণ বাঁশগাড়ী এলাকার বাসিন্দা প্রবাস ফেরত আপন মিয়া স্থানীয় লাকি পার্কে নৈশপ্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন। পরিবার নিয়ে তিনি একই উপজেলার মরজাল গ্রামে অর্চনা বিবির বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
কাজ শেষে সকালে তিনি বাড়ি ফেরার পথে বাজার থেকে একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে আনেন এবং সেটি তার স্ত্রীকে কাটতে বলেন। সেসময় তার স্ত্রী মারুফা বেগম ভাতের মার ফেলতে ব্যস্ত ছিলেন।
এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা শিশুপুত্র মাহিন বাবার গলা জড়িয়ে ধরে কোলে উঠতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে টেনে ফেলে দিয়ে ধারালো বটি দিয়ে গলায় আঘাত করেন। এসময় শিশুটির গোঙানির শব্দ শুনে মারুফা দৌড়ে গিয়ে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দেন। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আপন মিয়াকে আটক করতে গেলে তিনি পালিয়ে যান।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকারী আপন মিয়াকে পালাতে সাহায্য করায় তার ভাতিজা স্বপনকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মারুফা বেগম বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ২১ নভেম্বর, ২০১৭/আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা
আরএ