মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশালের আগরপুর রোডের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো. সুজন ব্যাপারী, সেতু দাস, শান্তা আক্তার, মো. শাকিবুল হক, মো. রাসেদ বালী, মো. মাসুম, ইসাত জাহান এবং অপু হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের এক লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা আট শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষা বর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষের হিসাব বিজ্ঞান শাখায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে ২২ অক্টোবর ব্যাংকে নির্ধারিত ফি দিয়ে ২৩ অক্টোবর সরকারি বরিশাল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে নিশ্চয়নের টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ৩০ অক্টোবর তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেন। বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চয়নের টাকা গ্রহণ না করে আমাদের ভর্তি বাতিল করে দেন। এরপর থেকে ভুক্তভোগী আট শিক্ষার্থী হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে যথারীতি ক্লাস শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা লিখিত বক্তব্যে জানান, সরকারি বরিশাল কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোশারেফ হোসেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের জানান, তোমাদের ভর্তিতে একটু সমস্যা রয়েছে। তোমরা তোমাদের কাগজপত্র তুলে নিয়ে যাও এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করো।
এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন বরাবর একটি আবেদন করেন। এ ঘটনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, কলেজ অধ্যক্ষ অলিউল ইসলাম তাদের পুনরায় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন করতে বলেন। রিলিজ স্লিপের ফলাফল চলতি মাসের ১৩ নভেম্বর প্রকাশিত হলেও অদ্যবধি কোনো আশানুরুপ ফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
সরকারি বরিশাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অলিউল ইসলাম জানান, কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোশারফ হোসেনের ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে। শিগগিরই তারা ভর্তি হতে পারবেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলেছি। শিক্ষাবিদ প্রফসর মো. হানিফ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করতে পারবেন। ভর্তি নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এমএস/এএটি