ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাজার সুবিধায় শ্রম আইনের সংশোধনে সম্মত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
বাজার সুবিধায় শ্রম আইনের সংশোধনে সম্মত

ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে সুবিধা পেতে জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং বেপজা আইনের সংশোধনী অনেক দূর এগিয়ে গেছে জানিয়ে সরকারের দুই মন্ত্রী বলছেন, জাতীয় সংসদের আগামী শীতকালীন অধিবেশনে তা উথ্থাপন করা হবে।

আইন দু’টি সংশোধনীর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলোদেশি পণ্যর বাজারের সমস্যা কেটে যাবে বলে জানিয়েছন বাণিজ্যমন্ত্রী।
 
সংশোধনীর বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু না জানালেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সমস্যা যেখানে ছিল আমরা ঠিক সেই সমস্যার জায়গায় গিয়ে পরিবর্তন এনেছি।


 
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আইন দু’টি সংশোধনীর বিষয়ে এক বৈঠকের পর এসব কথা জানান দুই মন্ত্রী। বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
 
চলতি বছরের জুনে আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইন্টারন্যাশনাল লেবার কনফারেন্সে যোগদান করেছিল। সেখানে আইনমন্ত্রীর দক্ষতায় বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্ত করা ‘স্পেশাল প্যারাগ্রাফ ফোর’ তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, আমাদের আইন দু’টির সংশোধনীর জন্য বলা ছিল। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। জেনেভাতে এক্সপার্ট কমিটিকে কাল তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এতে ভবিষ্যতে আর কোনো সংকট রইলো না।
 
তবে কী সংশোধনী হচ্ছে- এ বিষয়ে কিছু জানাননি দুই মন্ত্রী।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো। সে জন্য এখানে আলোচনা করছি না। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস তাদের সন্তুষ্ট করতে পারবো। ইউরোপ আমাদের একটা বড় বাজার, তারাও আমাদের এই সিদ্ধান্তে খুশি হবে। আমাদের সিদ্ধান্তে তারা আকৃষ্ট হবে।
 
আইনমন্ত্রী বলেন, স্পেশাল প্যারাগ্রাফ যদি এবারও থাকতো তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের বাজারে অসুবিধা হতো। স্পেশাল প্যারাগ্রাফ রিমুভ করার সময়ে ইন্টারন্যাশনাল লেবার কনভেনশন অনুযায়ী শ্রম আইন এবং বেপজা আইনের কিছু পরিবর্তন আনতে বলা হয়েছিল।
 
‘আজকে আমরা সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে সন্তোষজনকভাবে একটা পর্যায়ে পৌঁছেছি। এটা প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে হবে। তার আগে এ সম্পর্কে বলতে চাচ্ছি না। আগামীকাল আইএলও’র এক্সপার্ট কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তারপর আপনাদের জানিয়ে দেবো। ’
 
তিনি বলেন, সমস্যা যেখানে ছিল আমরা ঠিক সেই সমস্যার জায়গায় গিয়ে সমস্যা সমাধানে এবং প্রতিকারেরর জন্য যে সব পরিবর্তন দরকার সেই সব পরিবর্তন এনেছি। আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেখানে পরিবর্তন করলে অসুবিধা হবে সেখানে আমরা পরিবর্তন করি নাই।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বেপজা, শ্রম মন্ত্রণালয় সবাই মিলে বসে সুন্দর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এটুকু বলতে পারি, আজকে বাংলাদেশে অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স আছে; এসব ব্যাপারে আমরা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। বাংলাদেশের স্বার্থকে সংরক্ষণ করেই আজকে আমরা সিদ্ধান্তটা নিয়েছি।
 
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন এবং বেপজা আইনের সংশোধনী অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সংশোধনী হয়ে গেলে আগামী শীতকালীন অধিবেশনে আনার চেষ্টা করবো।
 
ইপিজেডে ট্রেন ইউনিয়ন হবে না
ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন থাকা না থাকা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আছে, এটা ট্রেড ইউনিয়নের মতই। সেই নামেই তারা কার্যকলাপ পরিচালনা করবে। নতুন করে ট্রেড ইউনিয়ন হবে এরকম কোনো কিছু নাই।
 
তিনি বলেন, যখন ইপিজেড হয় তখন কথা ছিল এখানে কোনো ট্রেড ইউনিয়ন হবে না। কিন্ত ৯০ দশকের মাঝামাঝি যখন আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তখন আইএলও’র সঙ্গে আলাপ করে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন প্রথা সৃষ্টি করি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।