নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরি বটতলী গ্রামের ওপর দিয়ে বহমান নদীতে সেতু নির্মিত হয়নি গত ৪০ বছরেও। কেবল নির্বাচন এলে নেতা-প্রার্থীদের অনেক প্রতিশ্রুতি মিলেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, লক্ষ্মীচাপ, শিমুলবাড়ি, ধর্মপাল, দুবাছুরি, দাঁড়িহারা, বালার পোকর, খেরকাটি, বগুড়াটারি, শেওটগাড়ি ইত্যাদি গ্রামের ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকোটি দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও উৎপাদিত পণ্য শহরে আনা-নেওয়া করতে চাষিরাও চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, সাঁকোটি ভেঙে মাঝে-মধ্যেই নদীতে পড়ে আহত হচ্ছেন অনেকে। তারপরও তারাসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন অনেক কষ্টে চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছেন। সেতু নির্মাণে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দফতরে ধরণা দিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
প্রধান শিক্ষক গণপতি রায়, ছাত্র পলাশ ও মিঠুন, ছাত্রী আরজিনা বেগম, বেবী ও রেশমা, পথচারী নরেশ চন্দ্র রায়, মমতা বেগম, সোহরাব আলী ও লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা এ সাঁকো দিয়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারি’।
লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ‘সাঁকোটি পুরো ইউনিয়নের মানুষের জন্য মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি নিজেও ভুক্তভোগী, প্রতিদিন এ সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়’।
‘বুড়িখরা নদীর ওপরে সেতু হলে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি ১০ গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হতো’।
নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলেই নদীটির ওপরে সেতু নির্মিত হবে। এজন্য সকল প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করা হয়েছে। সেতুটি নির্মিত হলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এএসআর