‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে নৌবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ২১ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মানে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার দুপুরে নৌবাহিনী সদর দফতরের সাগরিকা হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে রূপকল্প বাস্তবায়নে ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রা এগিয়ে চলছে।
নৌবাহিনী প্রধান বলেন, একটি কার্যকর ও পেশাদার নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে সংযোজিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ ও আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম। দেশমাতৃকার গৌরব সমুন্নত রাখতে সকল নৌসদস্যকে পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্য নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তেমন কিছুই ছিলো না। ছিল শুধু বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বান আর বুক ভরা সাহস। এর ওপর ভর করেই অপারেশন জ্যাকপটের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী শত্রু বাহিনীর সকল লজিস্টিক লাইন বন্ধ করে দিয়েছিল।
এরপর নৌবাহিনীতে কর্মরত ৫ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বিভিন্নক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য শান্তি পদক দেন নৌ বাহিনী প্রধান।
কমোডর শেখ আরিফ মাহমুদ, কমোডর মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, কমোডর মীর ইমদাদুল হক, কমোডর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও কমোডর আনিসুর রহমান মোল্লাকে পরিয়ে দেয়া হয় এই শান্তি পদক।
সারাদেশের মোট ২৯ জন নৌ সেনাকে এই শান্তি পদক দেয়া হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন নৌঘাঁটিতে এই পদক পরিয়ে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
আরএম/আরআই