মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার ভোরে প্রশ্নপত্র ফাঁস জালিয়াতির ঘটনায় চক্রের মূলহোতা তনয় ও আকাশসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিম।
পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস জালিয়াতির ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করি। এই চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের স্বীকারোক্তিতে চক্রের মূলহোতা নাভিদ আনজুম তনয় ও এনামুল হক আকাশের নাম পাই।
এর আগে, গত ১ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁও থেকে ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাফিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ নভেম্বর রংপুরের কামাল কাছমা বাজার এলাকা থেকে তনয় এবং গাজীপুর থেকে এনামুল হক আকাশকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, চক্রের মূলহোতা তনয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং আকাশ গাজীপুরের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
গ্রেফতারের পর রিমান্ডে তনয়কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ডিজিটাল ডিভাইসের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আকাশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয় বলেও আসামিরা জানিয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তনয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের মাধ্যমে যারা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছে তাদের চিহ্নিত করা গেছে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিমের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া ৭ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভর্তিতে জালিয়াতি করে আসছিল। তারা পরীক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহ করতো। পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ওই ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেওয়া হতো বলে পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চক্রের আরো সদস্য রয়েছে তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। চক্রের মূলহোতা তনয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও খুঁজে বের করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এসজেএ/এমজেএফ