তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলার জন্য আমাদের সরকার কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে দেশে ও বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বিকেলে ঢাকা সেনানিবাস, সেনাকুঞ্জে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কার্যক্রমগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণ এবং সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বেশ কিছু ব্রিগেড আর ইউনিট প্রতিষ্ঠা করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সিলেটে ও রামুতে পূর্ণাঙ্গ পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালীতেও শীঘ্রই একটি নতুন পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি। বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, সরঞ্জামাদি ও জনবলের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে।
সমুদ্রসীমার প্রসঙ্গে টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে জয়লাভের মাধ্যমে আমরা দু’দফায় এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি সমুদ্রসীমায় নিজস্ব অধিকার লাভ করেছি। সমুদ্রসীমা নিরাপদ রাখার পাশাপাশি ব্লু ইকোনমির সর্বোচ্চ উপযোগ নিশ্চিতে সরকার ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া এবং ওই এলাকায় (কক্সবাজার) সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত প্রশংসার সঙ্গে কাজ করছে বলেও মত দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তার সরকারের নেওয়া নানান উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বক্তব্য শেষে শেখ হাসিনা ঘুরে ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এদিকে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে সকালে ঢাকা সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি জানান, তার সরকার আগামী জানুয়ারি থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যেককে ভাতা দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (তৎকালীন ইপিআর) সদস্য যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের ভাতা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এমইউএম/আইএ