মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহরের বাবুরাইল এলাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাবুরাইল এলাকার আলাল, জালাল, মনির, কিরণ ও বরিশাইল্লা ইমরান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা জানান, দুপুরের পর থেকে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে ১২ অক্টোবর রাতে কাশীপুরের হোসাইনি নগর এলাকাতে একটি রিকশার গ্যারেজে সশস্ত্র হামলাকারীরা কুপিয়ে তুহিন হাওলাদার মিল্টন (৪০) ও পারভেজ আহমেদ (৩৫) নামে দু'জনকে হত্যা করা হয়। পরে নিহত পরিবারগুলোর পক্ষে মামলা না হওয়ায় শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- এক নং বাবুরাইলের শুক্কুর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাহাঙ্গীর বেপারী (৪০), ১নং বাবুরাইল তারা মসজিদ এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে বাপ্পী (২৮), রবিন (৩০), রকি (২৮), ভূঁইয়াপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে আমান (৩২), বাবুরাইল শেষমাথা এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে শহিদ (৩০), বাবুরাইল তারা মসজিদ এলাকার আসলাম (৫০), বাবুরাইল ঋষিপাড়া এলাকার মৃত জাকিরের ছেলে মাহাবুব (৩০), বিএনপি নেতা হাসান আহমেদের ভাতিজা শিপলু (৩০) ও রাসেল (৩৩), বাবুরাইল এলাকার মুক্তা (২৮), পাইকপাড়া জিমখানা ডিমের দোকান এলাকার শরীফ (৩৩), বাবুরাইলের রানা (২৮), বাবুরাইলের কিরণ (৩০), মানিক (৩০), বাবুরাইলের আবদুল মান্নানের ছেলে ফয়সাল (২৬), বন্দর এলাকার রাব্বি (৩০), ১নং বাবুরাইলের নিলু সরদারের ছেলে সোহাগ (৩২), বাবুরাইল শেষমাথা এলাকার রাকিব (২৭), বাবুরাইল ঋষিপাড়া এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে রাজন (৩০), বাবুরাইল এলাকার রিকশা আবুল (৩৫), একই এলাকার ফরহাদসহ (৫২) অজ্ঞাত আরো ১শ থেকে ১২৫ জন।
মামলার আসামিরা সবাই বিএনপি নেতা মজিদ ও হাসান বাহিনীর লোক হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এএটি