ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মৈত্রীর ভাড়া বাড়ছে ৮ ডিসেম্বর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
মৈত্রীর ভাড়া বাড়ছে ৮ ডিসেম্বর মৈত্রী এক্সপ্রেস। ফাইল ফটো

ঢাকা: এক লাফে অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়ছে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ভাড়া। ভ্যাট ও ট্রাভেল ট্যাক্সসহ আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩ হাজার ৪শ’ টাকা কেবিন ভাড়া গুণতে হবে এ রুটের যাত্রীদের। এসি চেয়ার কোচের ভাড়া পড়বে আড়াই হাজার টাকা।

এতো দিন ২ হাজার ৩৮৬ টাকা কেবিন ভাড়ায় ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়া যেতো। চেয়ার কোচের ভাড়া ছিলো ১ হাজার ৬৩২ টাকা।

কিন্তু মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ রেলওয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে ভাড়া বৃদ্ধির খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ঢাকা-কলকাতা ৫৩৮ কিলোমিটার রেলপথে নতুন কেবিন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার  ৫২২ টাকা। সঙ্গে ৩৭৮ টাকা ভ্যাট ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্সসহ মোট ভাড়া পড়বে ৩ হাজার ৪শ’ টাকা। আর ২৫২ টাকা ভ্যাট ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স দিয়ে এসি চেয়ার কোচের ১ হাজার ৭৪৮ টাকা ভাড়া দাঁড়াবে আড়াই হাজারে।

তবে দু’দেশের স্থলপথের যাত্রীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স আদায় করলেও ভারত এখনো কোনো ট্রাভেল ট্যাক্স আরোপ করেনি।

রেলের ওই কর্মকর্তা মৈত্রীর ভাড়া বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন। তবে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় ভাড়া বৃদ্ধিতে উৎসাহী হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৈত্রী থেকে বছরে বিপুল আয় করে লাভের মুখ দেখছে উভয় দেশের রেল।

প্রতি দিনই যাত্রীর চাপ থাকে কমলাপুরে মৈত্রীর কাউন্টারে। যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহের জন্য ভোর পাঁচটায় গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়। আবার সন্ধ্যা ৭টায় যখন মৈত্রীর ই-টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায় তখনো যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
 
কলকাতা ভ্রমণে মৈত্রী এখন আগের চেয়ে অনেক আরামদায়ক সার্ভিস। ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে আগে রেলে ১১ ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন প্রান্তিক স্টেশন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও কলকাতার চিৎপুরে কাস্টমস-ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ায় সময় লাগছে সাকুল্যে ৮ ঘণ্টা।

এতোদিন ভারতের গেদে স্টেশন এবং বাংলাদেশের দর্শনা স্টেশনে যাত্রীদের এমনকি রোগি বা বৃদ্ধদেরও ট্রেন থেকে মালপত্রসহ নেমে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস পরীক্ষা করাতে হতো। সেই বিড়ম্বনা দূর হয়েছে।

তাই প্রান্তিক স্টেশনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সার্ভিস চালুর প্রথম দিনেই মৈত্রীর ৪৫৬টি আসনের সবগুলোই বিক্রি হয়ে যায়।

বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে ৪ দিন মৈত্রী ট্রেন চলাচল করছে। প্রতি রোব, বুধ, শুক্র ও শনিবার ঢাকা থেকে কলকাতায় ছুটছে মৈত্রী। দাবি উঠেছে প্রতিদিনই মৈত্রী চলাচলের।

এছাড়া গত ১৬ নভেম্বর থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার খুলনা-কলকাতা ‘বন্ধন’ এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। সময় লাগছে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। আগামীতে বেনাপোল রেল স্টেশনের পরিবর্তে খুলনা স্টেশনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সারা হলে আরো ২ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে।
 
দু’দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক দিল্লি বৈঠকে ২০১৮ সালের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এসএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।