মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুন্দরবনের আড়পাঙ্গাসিয়া নদীর (বাটলু) ভায়রার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১জন জিম্মি জেলে, দু’টি নৌকা, ২টি অস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
গামা মণ্ডল দস্যু মুন্না বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তার বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাপপুর গ্রামে বলে জানা গেছে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, দস্যু মুন্না বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিপণের দাবিতে ১১জন জেলেকে জিম্মি করে। এ খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা সুন্দরবনের আড়পাঙ্গাসিয়া নদীর (বাটলু) ভায়রার খাল এলাকায় অভিযান শুরু করে। এ সময় দস্যুরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে মুন্না বাহিনী পিঁছু হটে। এ সময় ঘটনাস্থলে মুন্না বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পলাশ ওরফে গামাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ১১ জন জিম্মি জেলে, দু’টি নৌকা এবং ১টি শার্টার গান, ১টি টুটুবোর রাইফেল ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে কয়রা থানার সেকেন্ড অফিসার উপ পরির্দশক (এসআই) রাজিউল আমিন এবং কনস্টেবল মো. লিটন ও হারিজ আহত হন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এমআরএম/এসএইচ