বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুজ্জামান ফকির আশুগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় তিনি জানান, শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিনগত রাত থেকে বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ৫ ডাকাত হলো-সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন, লক্কু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, সোলেমান মিয়ার ছেলে আবু তালেব ওরফে সুমন ও আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে আব্দুল হক। গ্রেফতারকৃত ৫ জনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এএসপি মো.মনিরুজ্জামান ফকির আরো জানান, ১৩ নভেম্বর দিনগত রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর-তালশহর আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতরা একটি পিকআপভ্যানে ডাকাতি করে। এসময় তারা পিকআপভ্যানে থাকা ৭০ পিস দরজার কাঠ লুট করে গাড়িতে থাকা হবিগঞ্জ সদরের দেওয়ান এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক কামাল আহমেদকে হত্যা করে।
এ ঘটনার ৫ দিন পর ১৮ নভেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বেড়তলা এলাকায় একদল ডাকাত মাছ বোঝাই ট্রাক লুট করে নিয়ে যায়। সেসময় মাছ ব্যবসায়ী রফিক মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা এবং ট্রাক চালক ও চালকের সহযোগীকে পিটিয়ে আহত করে।
এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রাম থেকে আবু তালেব সুমনকে প্রথমে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে পুলিশ আশুগঞ্জ থেকে লুট হওয়া ৭০ পিস দরজার কাঠ ও সরাইল থেকে লুট হওয়া মাছ বিক্রির এক লাখ ৪ হাজার ৬৯৫ টাকা উদ্ধার করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, দুটি পৃথক ঘটনায় আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, ২২ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ