তবে এর আগে সাইনবোর্ড ছাড়াই এখানে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশির কার্যক্রম চালাতো বিজিবি। এতে অনেক সময় বিষয়টি বুঝতে না পেরে নানা সমস্যায় পড়তেন যাত্রীরা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে ৪৯ ব্যাটালিয়নের বিজিবির সদস্যরা আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের নিচ তলায় চেকপোস্টের পাশে সাইনবোর্ড দিয়ে ভারত ফেরত যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করা শুরু করেন।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিদর্শক (প্রশাসন) রেজাউল করিম ।
গত দুই মাসে বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য পর্যবেক্ষণ ও পরিচয়পত্র ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারীদের ওপর নজরদারি করতে শূন্য রেখায় তিনটি চেকপোস্ট বসিয়েছে বিজিবি।
এর আগে নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে গত ৩ আগস্ট বাংলানিউজে ‘বেনাপোল সীমান্তে অরক্ষিত বাংলাদেশ প্রবেশ দ্বার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই মূলত নড়েচড়ে বসে বিজিবি। এক পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারে আহ্বানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ওয়াহিদুজ্জামান। গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তখন কর্নেল ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বেনাপোল চেকপোস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানকার নিরাপত্তায় বিজিবি কাজ করছে। তবে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। শূন্য রেখাকে কোনোভাবে অরক্ষিত রাখার সুযোগ নেই। সরকারের নির্দেশনায় পর্যায়ক্রমে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিজিবির ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ এলাকায় একের পর এক তল্লাশি চৌকি বসানো হচ্ছে। ফলে অনেকাংশে কমে গেছে চোরাচালান ও পাচার কার্যক্রম।
এমন ব্যবস্থাপনা এর আগে কখনও দেখেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন ও বাংলাদেশ-ভারতে আসা-যাওয়াকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এজেডএইচ/জিপি