একই মামলার আরো ১৮ আসামির মধ্যে বাকি আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-প্রথম আদালতের বিচারক এবিএম মাহমুদুল হক এ রায় দেন।
লিপু কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী জোনের ডিজিএম ওয়াহিদুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক সামসুন্নাহার লিলি দম্পতির ছেলে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়া শহরতলীর উদিবাড়ি এলাকার জহুরুল হক বিকুর ছেলে রাকিবুল ইসলাম বাপ্পী (২২) ও নাটোর জেলার জমশেদ নগর গ্রামের লিয়াকত হোসেনের ছেলে সুমন (৩৫)।
যাবজ্জীবন সাজার আদেশপ্রাপ্তরা হলেন-জুহাইম খন্দকার শুভ, হৃদয়, আলিফ, সাজেদুল, নয়ন, সজীব, মিনহাজ এবং মিলন।
এছাড়া আসামি আবু সাঈদকে ১০ বছর এবং মাহাবুব আলম, রিপন হোসেন ও সুজন মাহামুদকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত আহসান হাবিব, আনোয়ারা বেগম, শাহিনুল ইসলাম কল্লোল হোসেন ও আবু তালেব নামে চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সুমন ছাড়াও আলিফ, আবু তালেব, সাজেদুল, নয়ন, সজীব, আবু সাঈদ, মিনহাজ ও মিলন এখনো পলাতক।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কয়েকজন বন্ধু লিপুকে অপহরণ করেন। পরে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লিপুর বাবা ওয়াহিদুল ইসলামের কাছে তিন কোটি টাকা দাবি করেন। পরে লিপুর পিতা বাদী হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় ছেলের বন্ধু ইমন, শুভ ও রাতুলকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান যে লিপুকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। তারা এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে জবানবন্দি দেন আদালতে। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। শুনানি ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এসআই