বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত থেকে বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত তাদের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে যে ১৫ জন ভর্তি রয়েছেন তারা হলেন- রাজারহাট উপজেলার হরিশ্বর তালুক এলাকার মাইদুল ইসলামের মেয়ে মিম (৮), তার স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৩০), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী জমিলা বেগম (৩৫), তার মেয়ে রাবেয়া বেগম (১৮), রেহানাজ পারভীন (২১), ইব্রাহিম (৪৫), তার মেয়ে মাকসুদা (৯), মাসুমা বেগম (১৮), আ. কাদের মোল্লা (৭০), ফজললু হকের ছেলে মোজাম্মেল (১৩), আ. লতিফ মোল্লা (৩৫), সুফিয়া বেগম (৪৫), ইউনুছ আলী (৩৫), তার মেয়ে ইশি (৩) ও নবীজান বেগম (৩২)।
পেটের পীড়ায় আক্রান্ত রোগীরা জানান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আয়োজনে উপজেলার হরিশ্বর তালুক গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার বাড়িতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সিডিএমসি অফিসে মঙ্গলবার বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথিসহ অংশগ্রহণকারী ৩০ জন সদস্যের জন্য দুপুরের খাবারে কাচ্চি বিরিয়ানী সরবরাহ করা হয়।
খাবারগুলো বাড়িতে নিয়ে পরিবারের সদস্যসহ খাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে তাদের পেটব্যথা ও বমির সঙ্গে ডায়রিয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের রাতে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
রাজারহাট উপজেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউপিও শামীম আহসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সেমিনারে খাওয়ানোর জন্য কুড়িগ্রামের ঢাকা বিরিয়ানী হাউজ থেকে কাচ্চি বিরিয়ানীর প্যাকেট আনা হয়। যা সেমিনারের সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ওই খাবার খেয়ে লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে হোটেল মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি।
রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপি ডা. শহিদুল্লাহ্ বাংলানিউজকে জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এটি খাদ্য বিষক্রিয়া হতে পারে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে চার সদস্যের একটি টিম তৈরি করে এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এফইএস/জেডএস