সরকারিভাবে আগামী ২৫ নভেম্বর সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছিল।
২৫ নভেম্বর বেলা ২টায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর থেকে রওনা হয়ে মূল শোভাযাত্রা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছানোর পর বেলা ৩ টায় সেখানে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্র্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জনকে আগামী ২৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগরীসহ সকল জেলা ও উপজেলায় ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’র মাধ্যমে উদযাপন করার জন্য কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে।
বর্ণাঢ্য, আকর্ষণীয় ও সর্বাঙ্গীন সুন্দরভাবে উক্ত কর্মসূচি একযোগে সারা দেশে উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘উক্ত কর্মসূচি যথাযথভাবে উদযাপনের জন্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের ঢাকায় অবস্থানরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় কর্মসূচিতে এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। ’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং মাঠ পর্যায়ের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে উপসচিব সাজজাদুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। এর ফলে এ ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো’র মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে নিবন্ধিত হয়েছে। মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এ এটাই প্রথম কোন বাংলাদেশি দলিল, যা আনুষ্ঠানিক ও স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত হবে।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এ বর্তমানে ডকুমেন্ট ও সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪২৭টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআই