চাঁদপুরের মতলব উপজেলার দীঘির পাড়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ৩ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ছিলো মৃত কাউসার আহমেদ। যাত্রাবাড়ী দনিয়া নয়াপাড়া এলাকায় মামা বাবুল বিশ্বাসের কাছে থাকতো সে।
যাত্রাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান জানান, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে ব্যাডমিন্টন কোটে আলোকসজ্জা নিয়ে মারামারিতে খুন হয় কাউসার। ব্যাডমিন্টনের একটি কোর্ট থেকে পাশের আরেকটি কোর্টে বিদ্যুতের লাইন নেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। এক পর্যায় তার পরিচিত পাপ্পু, রিফাত, তুহিন, সাইদ ও আমানসহ (তাদের বয়স ১৫ থেকে ১৮) আরো বেশ কয়েকজন কাউসারকে মারধর করে। এ সময় কাউসার দৌড়ে পালাতে থাকলে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে তাকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে কাউসারের মাথা, বুক ও পিঠ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। আহত অবস্থা পরিচিতরা তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাপ্পু, রিফাত, তুহিন, সাইদ ও আমানকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। মামলায় আটক ৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পূর্বের কোন শত্রুতা বা অন্য কোন ঘটনা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃত কাউসারের মামা বাবুল বিশ্বাস জানান ৭/৮ বছর ধরে কাউসার তার সাথে থাকতো যাত্রাবাড়ীর নয়াপাড়া এলাকায়। যাত্রাবাড়ী কতুবখালীতে তার গাড়ির ওয়ার্কশপ দেখাশোনা করতো সে।
তিনি জানান, ময়নাতদন্ত শেষে কাউসারের লাশ দনিয়ায় নেয়া হয়েছে। পরিবারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কাউসারে দাফনের স্থান ঠিক করা হবে।
তিনি জানান এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যে প্রধান হোতা রাব্বি। তাকে পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন মামা বাবুল বিশ্বাস।
রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এজেডএস/আরআই