বুধবার (২২ নভেম্বর) মহানগরীর পাইকারি ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্র হেরাজ মার্কেটের একটি গোডাউন ও একটি শোরুম থেকে ওষুধগুলো জব্দ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জব্দকৃত ওষুধের মধ্যে রয়েছে সরকারি বিক্রি নিষিদ্ধ, অনিবন্ধিত, ভেজাল, নিম্নমান, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক। এর আগে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানকালে মালিক না পাওয়ায় উল্লিখিত দু’টিসহ সন্দেহজনক ৪টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেন।
অভিযানে র্যাব-৬’র পক্ষে নেতৃত্বদানকারী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নূরুজ্জামান বলেন, হেরাজ মার্কেটের নিচতলায় অবস্থিত শোরুম কমলেশের মালিকানাধীন পাপ্পু মেডিকেল হল এবং দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আব্দুল লতিফের মালিকানাধীন সালমা ড্রাগ হাউজের গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওষুধ ভর্তি বিপুল সংখ্যক কার্টন জব্দ করা হয়। ওষুধগুলো ট্রাক ভর্তি করে র্যাব কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মূলত অভিযান শুরু হয় মঙ্গলবার। সেদিন গোডাউনগুলোর মালিক পাওয়া যায়নি। এ কারণে সিলগালা করে দেওয়া হয়। সব ধরনের টেকনিক্যাল সাপোর্ট নিয়ে বুধবার অভিযান চালানো হয়। সেখানে সরকারের যেসব ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণের কথা সেগুলো পাওয়া গেছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ওষুধও পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, দোকানের মালিক না পাওয়ায় সাজা দেওয়া সম্ভব হয়নি। দোকান সিলগালা করা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে এ পদক্ষেপে মালিককে পাওয়া যাবে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে মঙ্গলবার নগরীর হেরাজ মার্কেটে র্যাব-৬ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ওই মার্কেটে তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় দেখা যায়, সবক’টি গোডাউনে তালা ঝোলানো রয়েছে। অবশ্য র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকেই গোডাউনে তালা ঝুলিয়ে আত্মগোপন করেন। ওইসব গোডাউনের সামনে রাখা কার্টনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্ট সিরাপ ছিলো। অনেক সিরাপের বোতলে লেভেল ছাড়া ওষুধ দেখা যায়। পরবর্তীতে গোডাউনের মালিক খুঁজে না পাওয়ায় সিলগালা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এমআরএম/জেডএস