বুধবার (২২ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দিনব্যাপী অ্যাকটিভ সিটিজেন ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি জামায়াতের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা যতক্ষণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধপরাধীদের বাইরে যে সব প্রার্থী রয়েছে তাদের নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি দেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সবার অংশগ্রহণে একটি গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচন মানে একতরফা নির্বাচন না। নির্বাচন মানে চয়েজ। যেখানে একতরফা হয় সেটি কোনো নির্বাচন না। যারা ভোটার হতে চায় তারা ভোটার হবে। আর যারা প্রার্থী হতে চায় তাদের প্রার্থী হওয়ার অধিকার দিতে হবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও আরো শক্তিশালী হওয়া অপরিহার্য। এ অবস্থায় সরকারের সদাচরণ প্রয়োজন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে পারলেই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যারা ভোট দিতে চায় তাদের নির্বিঘ্নে ও কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ ছাড়াই ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এখানে টাকা ও পেশিশক্তির কোনো প্রভাব থাকতে পারবে না। তবে নির্বাচন নিয়ে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি জটিল। দেশে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করছে। আমি আশা করি মানুষের কল্যাণে, দেশের স্বার্থে তারা রাজনৈতিক সমঝোতা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
তরুণদের নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশ এবং দেশের সামাজিক সমস্যা নিরসনে তাদের যে ভূমিকা রয়েছে, সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইয়ুথ অ্যান্ডিং হাঙ্গারের আয়োজনে ১৯ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ৪ দিনব্যাপী অ্যাকটিভ সিটিজেন ইয়ুথ লিডারশপি ট্রেনিং শেষ হয়েছ। এখানে প্রায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এসএইচ