পরে আবু বক্কর অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে রাজি হয়নি জিদান। কিন্তু জিদানের সঙ্গে মাদ্রাসার আরেক ছাত্রের ঘনিষ্ঠতা দেখে আবু বক্কর ধারণা করে, তাদের মধ্যে সম্ভবত অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
নিজের আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় জিদানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে গত রোববার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঘুমের মধ্যে জিদানকে গলা কেটে হত্যা করে আবু বক্কর।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে আবু বক্করকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩। তার প্রাথমিক স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বিকেলে কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল এমরানুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘আবু বক্কর জিদানকে দিয়ে কাপড় কাঁচা, খাবার আনাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ফরমায়েস খাটানোর চেষ্টা করতো। কিন্তু এসব আদেশ মানতে না চাওয়ায় গত ১৬ নভেম্বর জিদানকে চড়-থাপ্পর মারে আবু বক্কর। জিদান বিষয়টি মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াছিনকে জানালে তিনি আবু বক্করকে সতর্ক ও মীমাংসা করে দেন’।
‘পরে আবু বক্কর জিদানকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে সে রাজি হয়নি। জিদানের সঙ্গে অন্য এক শিক্ষার্থীর ঘনিষ্ঠতা দেখে আবু বক্কর ধারণা করে, তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে’।
লে. কর্নেল এমরানুল হাসান আরও বলেন, ‘তখন থেকে জিদানকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে আবু বক্কর। এজন্য রোববার এশার নামাজের পর নিজের ফল কাটার ছুরিটিতে ধার দেয়। ওইদিন রাতে খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর আনুমানিক দেড়টার দিকে জিদানের বিছানায় গিয়ে তার মুখ চেপে ধরে গলায় ছুরি চালায় সে’।
‘তখন ওই কক্ষে ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থী ছিল। কিন্তু অন্ধকারে মশারির ভেতর থেকে গোঙ্গানির শব্দ শুনলেও ভয়ে কেউ ওঠেনি। এর কিছুক্ষণ পর জিদানের মরদেহ মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংকের কাছে ফেলে পালিয়ে যায় আবু বক্কর’।
তিনি জানান, আবু বক্কর চার বছর ধরে এ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছিল। এর আগে সিদ্দিকবাজারের একটি মাদ্রাসায় ২ বছর পড়াশোনা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
পিএম/এএসআর