বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ১০ বছর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ছিলো ঠুটো জগন্নাথ।
একই বিষয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধনসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আধুনিকায়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সংসদের সামনে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৭ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট কাজে নিয়োজিত জনবলকে ক্ষুদ্রাস্ত্র দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইয়াবার সরবরাহ ঠেকাতে টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিশেষ জোন স্থাপনের কথা উল্লেখ করে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে নানামুখি তৎপরতায় রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে মাদকের ব্যবহার ‘আগের চেয়ে’ কমেছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের ‘তরুণদের মধ্যে ক্রেজ সৃষ্টিকারী মাদক’ ইয়াবার প্রবাহ বন্ধে কক্সবাজারের টেকনাফে বিশেষ জোন স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ প্রস্তাবটি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, ইয়াবার স্রোত বন্ধে কক্সবাজার ও টেকনাফে সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে ইয়াবা পাচারবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সারাদেশে ইয়াবা বিরোধী বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে টাস্কফোর্সের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইয়াবাপাচার রোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের স্ট্র্যাটেজিক কমিটি কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নাফ নদীতে মাছ ধরার সব ধরণের নৌ-চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
সীমান্তে মাদক পাচার ঠেকাতে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের কথাও জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হয়। মিয়ানমারের সঙ্গে একই রকম বৈঠক আয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জেবুন্নেছা আফরোজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও র্যাবসহ অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা শহরের গুলশান অভিজাত এলাকায় মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে।
গুলশান আবাসিক এলাকা থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বার, রেস্টুরেন্ট স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগের তুলনায় গুলশান এলাকায় অবৈধ মদ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এসএম/এসকে/বিএস