এ নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় গৃহবধূর প্রবাসী বড় ভাই মো. ফিরোজের (৩০) ওপর হামলা চালিয়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন তারা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আহত ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে মারধরের বিষয়টি জানা যায়।
এর আগে, দুপুরে আহত ভাই-বোন দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকাল ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার চর চামিতা এলাকার রতনেরখীল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত গৃহবধূ নাহার রতনেরখীল গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবদুল বাতেনের স্ত্রী। ফিরোজ আহত গৃহবধূর বড়ভাই পার্শ্ববর্তী উত্তর জয়পুর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে।
অভিযুক্ত গৃহবধূর ভাশুর আবুল কালাম রতনেরখীল গ্রামের মৃত মোবারক উল্লাহর ছেলে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ নাহার বলেন, তার স্বামী বিদেশে থাকায় ভাশুর প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাতে তার কাছ থেকে টাকা নিতেন। গত কয়েকদিন থেকে কোনো কারণ ছাড়াই টাকার জন্য চাপ দেয় কালাম। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে তাকে থাপ্পড় মারে তিনি। বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে আবারও মারধর করে। এ সময় ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হন নাহার। বিষয়টি জানতে পেরে তার বড় ভাই তাকে দেখতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে ফিরোজের ওপর হামলা চালায় কালাম ও তার সহযোগী দুলাল।
আহত ফিরোজ জানান, তার বোনকে নির্যাতন করা প্রতিবাদ করলে কালাম ও তার সহযোগী দুলালকে সঙ্গে নিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ও স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কালামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বাংলানিউজকে বলেন, আহত গৃহবধূর মাথায় জখম রয়েছে। এতে সেলাই দিতে হয়েছে। তার ভাইয়ের মুখে জখম আছে। তারা দুইজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিষয়টি শুনেছি, এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
আরআইএস/