হঠাৎ করেই বিপত্তি বাধল। সাভারে বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সাভার উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর।
এদিকে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা শুনে বর রাস্তা থেকেই নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে সাভার পৌরসভা এলাকার গেন্ডা মহল্লার জনৈক কান্দী কাজীর বাড়িতে এ বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুই পরিবারের সম্মতিতে গেন্ডা এলাকার ভাড়াটে মতিয়ার রহমানের মেয়ে ও সাভারের গেন্ডা মডেল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আনিকা আক্তার মিমের (১১) সঙ্গে ধামরাইর আড়ালিয়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের (২৪) বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।
এলাকায় বাল্যবিয়ে হচ্ছে স্থানীয়রা বিষয়টি সাভার উপজেলা নারী বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা জাহানকে জানায়। পরে তিনি সাভার উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমরকে নিয়ে কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেন। মেয়েটি মা রুনা আক্তার তার মেয়েকে বাল্যবিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর বাংলানিউজকে বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। যারা বাল্যবিয়ে করে বা বাল্যবিয়ে দেন তারা কেউই সুখে থাকতে পারে না। এছাড়া তাদের সংসারও বেশি দিন টিকে থাকে না।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে স্থানীয়দের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
জিপি/