বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশে আয়োজিত হয়।
বিআরটিএ'র উদাসীনতার সুযোগে পরিবহনগুলো এখন আরো বেপোরায়া হয়ে উঠেছে দাবি করে যাত্রী অধিকার অন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি কারো অদৃশ্য ইশারায় জনগণের পরিবর্তে কতিপয় বাস মালিক-শ্রমিকের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ।
এ সময় শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা সহ আট দফা দাবি জানান তিনি।
কেফায়েত শাকিল বলেন, নগরবাসীর চাহিদা বিবেচনায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাজধানীতে চলমান সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রী হয়রানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। কিন্তু কতিপয় বাস মালিক-শ্রমিকের অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটের অজুহাতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিআরটিএ। এ সময় সুশৃঙ্খল গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে সরকার জনগণের কাছে তিন মাস সময় চায়। কিন্তু ৩ মাসের পরিবর্তে ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি তারা,যা নগরবাসীকে হতাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, সিএনজি অটোরিকশা মালিক-চালকদের বেপরোয়া আচরণের কারণে সাধারণ যাত্রীরা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এতে ঈর্ষাপরায়ন হয়ে তারা আবারও ধর্মঘটের নামে নাগরিককে জিম্মি করার হুমকি নিচ্ছে। আমরা এই ধরণের কর্মসূচির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বাস মালিকদের সিএনজি অটোরিকশা থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সংগঠনের সদস্য মাইন উদ্দিন আরিফ বলেন, নৈরাজ্যের কারণে সিএনজি অটোরিকশার প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে যাত্রীরা, আপনারা অটোরিকশা থেকে শিক্ষা নিয়ে সিটিং সার্ভিসের নামে নৈরাজ্য বন্ধ করে যাত্রীবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা চালু করুন। নতুবা যে কোন সময় আপনাদেরও বর্জনের ডাক দেবে নগরবাসী।
এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, রাজধানীতে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর করা সহ আট দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
এ সময় সংগঠনের মুখপাত্র মাহামুদুল হাসান শাকুরির পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩,২০১৭
এমএসি/আরআই