বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘নারীবান্ধব ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ’ সম্মিলনে এসব কথা বলেন গবেষক, শ্রমিকনেতা, উন্নয়নকর্মী ও সাধারণ শ্রমিকরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম বলেন, একজন নারী শ্রমিক যদি মানসিক শান্তিতে কাজ করতে পারেন এবং তাকে যদি ভালো পরিবেশ দিতে পারি, তবেই আমাদের শিল্পের উন্নতি হবে।
মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন বলেন, দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, দেশে আইন ও নিয়ম থাকলেও মালিকরা মানেন না। আবার যে সব মালিকরা শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের বিচার হচ্ছে না। ফলে নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তায় যারা কাজ করছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
অনুষ্ঠানে তাজরিন ফ্যাশনে দুর্ঘটনার শিকার আহত শ্রমিক সবিতা রানী বলেন, ২৪ নভেম্বর তাজরিনের ৩য় তলায় কাজ করছিলাম। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফায়ার এলার্ম দেওয়া সত্ত্বেও কাজ চলছিল। আগুন লাগার পর নিচে এসে দেখি গেটে তালা দেয়া। আগুন থেকে বাঁচতে উপরে উঠতে অনেকের পায়ের নিচে পড়লাম। মনে হচ্ছিল মারা যাচ্ছি। একটা ছেলের শার্ট ধরে কোনভাবে প্রাণে বাঁচিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখন আমি মৃত জীবনযাপন করছি। শুয়ে শুয়ে দিন কাটে আমার। সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। ঠিকভাবে হাঁটতে পারি না। আমার দায়িত্ব কে নেবে? আমার তিন মেয়েকে পড়াতে পারছি না।
সম্মিলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক লাইলা জেসমিন বানু ও একশনএইড বাংলাদেশের পরিচালক আসগর আলী সাবরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এমএসি/এসএইচ