আটকেরা হলেন-নাজমুস সাকিব, সোহেল রানা, মো. আতিক, মাহবুবুর রহমান মনির, সাকিবুর রহমান এবং ফরিদ আলম।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ওই ইউনিটে চার শিফটে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলাকালে জালিয়াতির অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহিদুল কবির বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষা চলাকালে এসএমএস লেনদেন, প্রক্সি সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য ও প্রক্সি পরীক্ষার্থী হওয়ার অভিযোগে তাদের আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি জানান, আটকদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান মনির এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বাকিরা দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু জাফর রিপন বাংলানিউজকে জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিচারিক কার্য পরিচালনা করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাণিজ্যের সিন্ডিকেটের সঙ্গে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিপন চৌধুরী জড়িত সন্দেহে তাকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহিদুল কবির বাংলানিউজকে জানান, বুধবারের (২২ নভেম্বর) জালিয়াতির ঘটনায় রিপন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত যে কারও বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এমএএএম/আরআর