তিনি বলেছেন, বলা হয়ে থাকে- বক্স কালর্ভাট করার কারণে রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জাতীয় পার্টির আমলে নাকি কিছু বক্স কালভার্ট করা হয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে ১৮তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধী দলীয় নেতা এসব কথা বলেন।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সমাপ্তি সম্পর্কিত রাষ্ট্রপতির আদেশের কথা পড়ে শোনান।
রওশন এরশাদ বলেন, ঢাকা শহরকে আমরা তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম। আর এখন এ শহর বসবাসের অযোগ্য। জলাশয়গুলো সব ভরাট হয়ে গেছে, খালগুলো দখলে।
‘আগে ঢাকায় ৫৪টি খাল ছিলো, এখন ৮-১০টিও পাওয়া যায় না। এসব খাল দখল করছে কারা? প্রভাবশালীরা! এই প্রভাবশালী কারা- তার সবই আপনারা জানেন। এরপরও কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?’
আরও পড়ুন>>
** প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর বিবৃতির দাবি
তিনি বলেন, অভিযোগ করা হয়- আমাদের সরকারের (জাতীয় পার্টির শাসনামলে) সময় করা বক্স কালভার্টের কারণে নাকি জলাবদ্ধতা হচ্ছে। তখন ৭-৮ কোটি মানুষ ছিলো। আর এখন এই ঢাকায় ১৮ কোটি মানুষ। তখনকার অবস্থা আর এখনকার অবস্থা এক নয়।
‘তখন বক্স কালভার্ট করা হলেও তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা হতো। কিন্তু এখন পরিষ্কার করা হয় না বলেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। তাই এ দায় আমাদের ওপর বর্তায় না। দায় বর্তায় সর্বশেষ সরকারের ওপর। ’
একটি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে রওশন বলেন, পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষের ৮০ কোটি মানুষ মাত্র বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারে। আর বাকিরা পান করেন দূষিত পানি।
‘আমাদের বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী দূষণের চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। বুড়িগঙ্গাকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে ৫ বছর পর পানির অভাব চরম হবে। ’
গুম-খুন প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন বলেন, মানুষ গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনিরুদ্ধকে ফেরত দেওয়া হলো কিন্তু কারা তাকে ধরে নিয়ে যায় তা জানা যায়নি।
তরুণ সমাজকে বিপদগামী পথ থেকে বাঁচাতে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।
রওশন বলেন, রাত ১০ টার পর ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক ও টুইটার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তবেই রক্ষা পাবে তরুণ প্রজন্ম।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এসএম/এসকে/এমএ