বাস পোড়ানো ও শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনায় হাবিপ্রবি'র ১২ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ জনের নামে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে মোটর পরিবহন মালিক গ্রুপ ও শ্রমিক ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে দিনাজপুর কোতোয়ালী থানায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা দুটি মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এখনও ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ করছে।
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দিনাজপুর জেলার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে রেল পথে।
দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেদওয়ানুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বাস পোড়ানো ও হামলার ঘটনায় হাবিপ্রবি'র ১২ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাস জুড়ে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে হাবিপ্রবি'র একটি বাস ক্যাম্পাসের দিকে আসার সময় তৃপ্তি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে হালকা ধাক্কা লাগে। এসময় বাক-বিতণ্ডা হয় শ্রমিক ও হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে হয়। এঘটনার পর হাবিপ্রবি'র বাসটি মির্জাপুর বাস টার্মিনাল হয়ে ক্যাম্পাসের দিকে গেলে মোটর শ্রমিকেরা বাসে থাকা শিক্ষার্থীদের নামিয়ে মারধর করলে ৬ শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে এম আব্দুর রহিম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এঘটনা হাবিপ্রবিতে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে দুটি বাস ও একটি ট্রাকে আগুন দেয়। এসময় ট্রাকটি আংশিক পুড়ে গেলেও বাস দুটো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এঘটনার প্রতিবাদে মালিক ও শ্রমিকেরা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
বিএস