শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ও জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে জাতীয়করণকৃত কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডার বর্হিভুত করে বিধিমালা জারির দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে সমাবেশে সমিতির সভাপতি আইকে সেলিম উল্লাহ খন্দকার বলেন, সরকার রূপকল্প অনুসারে দেশ গড়ার কাজ করছে।
‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এটা রোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু গোপনে একটি একটি করে ৪৫টি কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষকের চেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে বেশি, জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ’
তিনি বলেন, আত্তীকরণ করা কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে বিধি প্রণয়নের জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সময় দিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। বিধি বর্হিভুতভাবে কোনো কলেজকে জাতীয়করণ করা হলে ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকরা তা মেনে নেবেন না।
সমাবেশে দুই পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সমিতির মহাসচিব শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘আগামী রোব ও সোমবার দেশের সব সরকারি কলেজে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। ’
‘ওইদিনও যদি আবার নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হয় তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবো আমরা। ’
তিনি বলেন, সামনে ডিসেম্বর মাস, তাই ওই মাসে কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছি না। তবে এই মাসে আমাদের সকল পর্যায়ের নেতা, বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করবো।
খবির উদ্দিন বলেন, আগামী ৬, ৭ ও ৮ জানুয়ারি সারাদেশে, সব দফতরে এবং কলেজে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও যদি দাবি মানা না হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ও জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে কলেজ জাতীয়করণের আগে সেখানকার শিক্ষকদের জন্য আলাদা আইন করার বিধান রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সে নিয়ম মানা হচ্ছে না।
‘নো বিসিএস, নো ক্যাডার’ দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশে দেশের বিভিন্ন এলাকার সরকারি কলেজের হাজার হাজার বিসিএস ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকরা অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭/ আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা
এমআই/এমএ/