শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানুর নির্দেশে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন বিয়ে বাড়িতে গিয়ে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।
মীম খাতুন উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের বাটিকামারী গ্রামের ফিরোজ আলীর মেয়ে।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, মীম খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার কসবামালঞ্চি গ্রামের মিন্টু আলীর ছেলে লিখন আলীর বিয়ে ঠিক হয়। শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য থাকায় রান্না-বান্নাসহ সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ের খবর জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানুর নির্দেশে ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়।
সেসময় উপস্থিত কনের বাবা-মা এবং পরিবারের সবাইকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করা হয়। পরে কনের বাবা-মাসহ স্বজনরা মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
বিষয়টি বর পক্ষকেও জানিয়ে দেন তারা। এসময় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাবানা আকতার, দয়ারমাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুর ইসলাম মিঠু, ইউপি সদস্য নিয়ামুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ