বিজয়ের পরপর ৩১ ডিসেম্বর রাজশাহীর পদ্মাচর শ্রীরামপুর এলাকা থেকে তাদের দড়িবাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দেখতে সেদিন বোয়ালিয়া ক্লাব চত্বর পদ্মার পাড়ে জনতার ঢল নামে।
রাজশাহী ৭নং সেক্টরের ৪নং সাব সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা বাংলানিউজকে জানান, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য নাজমুল হক সরকার, সরকারি কর্মকর্তা আবদুল হক সরকার, অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ুম, শামসুল ইসলাম ঝাটু, অ্যাডভোকেট সুরেশ পাণ্ডে ও বীরেন সরকারসহ শত শত বাঙালি এবং বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল ‘টি-গ্রোয়েন’ সংলগ্ন এই বাবলাবন বধ্যভূমিতে।
মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা জানান, ওই বধ্যভূমি থেকে একই দড়িতে বাঁধা ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছিলেন তারা। এমন হত্যাযজ্ঞের নিদর্শন রয়েছে প্রতিটি বধ্যভূমিতেই। কিন্তু বাবলাবনের মত মহানগরীর অন্য বধ্যভূমিগুলোও সংরক্ষণ করা হয়নি।
এদিকে, দীর্ঘ ১১ বছর ধরে রাজশাহীতে থাকা জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ ও রাজশাহী প্রেসক্লাব ক্ষুদ্র পরিসরে বাবলাবন শহীদদের স্মরণ করে আসছে।
এবার দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ ও রাজশাহী প্রেসক্লাব।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিগত ৩ দিনব্যাপী মহানগরীতে প্রচারণা, জনমানুষে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তথ্য সম্বলিত লিফলেট বিতরণ, শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় এবং বাবলাবন বধ্যভূমির স্থানটি পরিদর্শন করা হয়।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বধ্যভূমি এলাকায় বাবলাবন শহীদদের নামফলক স্থাপন এবং বিকেল ৩টায় সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট রাজশাহী প্রেসক্লাব চত্বরে ঐতিহাসিক বাবলাবন গণহত্যা দিবস স্মরণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এসএস/এমজেএফ