ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উদযাপনের প্রস্তুতি/ ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকোর বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি উদযাপনে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

বর্ণিল আলোকসজ্জায় সুসজ্জিত হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকা। হরেক রকম ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও তোরণে সাজানো হয়েছে পুরো উদ্যান।

প্রস্তুত হয়েছে অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চ।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) মধ্য রাতে গিয়ে দেখা যায় তোড়জোড়ের সঙ্গে চলছে উদযাপন অনুষ্ঠানের নানা প্রস্তুতি। উদ্যোনের প্রতিটি গাছের ডালে জ্বলছে লাল-নীল বাতি। মূল মঞ্চের যাওয়ার রাস্তার  দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে ছোট-বড় আকারের তোরণ।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উদযাপনের প্রস্তুতি/ ছবি: কাশেম হারুনশিখা চিরন্তনের দুই পাশে আলোকসজ্জায় লেখা হয়েছে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’। তার দুই পাশেই পুলিশ, র‌্যাবসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনীর কন্ট্রোল রুম। সমাবেশের প্রধান মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে উদ্যানের গ্লাস টাওয়ার এবং স্বাধীনতা জাদুঘরের সামনে।

৬০ ফুট প্রস্থ ও ৯০ ফুট দৈর্ঘ্যের মূল মঞ্চের সিঁড়িগুলো তৈরি করা হয়েছে কাঠের ক্রসিং দিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর বসার জায়গা বুলেট প্রুফ গ্লাস দেওয়া হচ্ছে। প্লাস্টিকের সাধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে স্টেজের মূল অংশ। উদ্যানের পাশাপাশি রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট মোড় ও টিএসসি এলাকাও রঙিন আলোয় সজ্জিত হয়েছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সামাবেশের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। প্রাধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উদযাপনের প্রস্তুতি/ ছবি: কাশেম হারুনশনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থান থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হবে। বেলা তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হবেন সবাই।

৭ মার্চের স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পাশাপাশি থাকবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো।

ঢাকা মহানগর ছাড়াও সারা দেশের সবগুলো জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় গত ৩১ অক্টোবর।

আনন্দ শোভাযাত্রার রুট নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

বাংলাদেশ সময়: ০৫৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।