উপলক্ষ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ উদযাপন। তাই শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সাজ সাজ রব ওঠে শহরজুড়ে।
নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে বাঙালির আবেগ জড়িত লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে সবাই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ধর্ম-বর্ণ ভুলে প্রাণ ভরে উদযাপন করেন ঐতিহাসিক এই স্বীকৃতি। ফলে আজকের এই ভিন্নধর্মী উদযাপন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছিলো। তাই গোটা রাজশাহী শহরেই ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ।
শহরের পাশাপাশি রাজশাহীর সবগুলো উপজেলা ও থানা পর্যায়েও সকাল থেকে দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন ছাড়াও উপজেলা এবং থানা পর্যায়ে থাকা বিভিন্ন সরকারি, অধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলের ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
রাজশাহীতে মূল আনন্দ শোভাযাত্রাটি বের করা হয় শনিবার সকাল ১০টায় নগরীর আলুপট্টি বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজশাহী কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান এই শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। শোভাযাত্রায় রাজশাহীর সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জেলা প্রশাসক মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান, র্যাব-৫ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুবুল আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কাউটস, বিএনসিসি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজ নিজ ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া সন্ধ্যায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ওরা ১১ জন প্রদর্শন করা হবে।
এদিকে, সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পৃথক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। ক্যাম্পাসের মুক্তিযুদ্ধ স্মারক ভাস্কর্য সাবাস বাংলাদেশ চত্বর থেকে সকাল ১০টায় শোভযাত্রাটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই শোভযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর এমএ বারী, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকার, প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. নূরুল্লাহ প্রমুখ অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এসএস/এমএ