সংস্কার করে আগামী সপ্তাহের দিকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করা হবে এমন আশ্বাস দিয়েছেন পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
ঝুলন্ত সেতুটি কয়েকমাস হ্রদের পানিতে তলিয়ে থাকায় সেতুর বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেতুটিকে তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন সময় পর্যটক সংশ্লিষ্টরা বারবার তাগিত দেয়া সত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়সারা ভাবের কারণে এ উদ্যোগ সফল হচ্ছে না বলে তাদের অভিযোগ। যে কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে ঝুলন্ত সেতুটি তলিয়ে যায়। সেসময় রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।
পর্যটন কর্পোরেশন সংশ্লিষ্টরা জানান, পাহাড় আর হ্রদের মিতালী শহরে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হচ্ছে ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যর ঝুলন্ত সেতুটি। ১৯৮৫ সালে এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
তারা জানান, বছরে প্রায় দুই লাখ দেশি ও বিদেশি পর্যটক সেতুটি দেখতে আসেন। এতে জনপ্রতি ২০ টাকা করে প্রবেশ ফি থেকে আয় আসে বছরে অন্তত ৪০ লাখ টাকা। মাসের হিসেবে এটা গড়ে সোয়া তিন লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। গত চার মাসে ১৩ লাখ টাকার চেয়েও বিশ রাজস্ব আদায় থেকে সরকার বঞ্চিত হয়েছে বলে তারা জানান।
পর্যটন কর্পোরেশন রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক জালাল উদ্দীন মো. আকবর জানান, ঝুলন্ত সেতুটি চার মাস হ্রদের পানিতে ডুবে থাকায় সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট হয়ে গেছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, সংস্কার করার পর আগামী সপ্তাহের দিকে সেতুটি পর্যটকদের পারাপারে উন্মুক্ত করা হবে। সেতুটি সংস্কারে যেমন টাকা ব্যয় হচ্ছে তেমনি বছরের অর্ধেক সময় সেতুটি ডুবে থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এর থেকে পরিত্রাণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
চলতি বছরের ১১ আগস্ট রাঙামাটিতে প্রবল বর্ষণের সময় কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঝুলন্ত সেতুটি তিন ফুট তলিয়ে যায়। এরপরই সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করে দেয় পর্যটন কর্পোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ