ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৭ই মার্চের স্বীকৃতি উদযাপনে সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
৭ই মার্চের স্বীকৃতি উদযাপনে সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রা ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় শোভাযাত্রা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: একাত্তরের ৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনে সারাদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দিনব্যাপী আনন্দ শোভাযাত্রা এবং এসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট ও উপজেলা করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর:

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রায় ঘোড়ার গাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামীণ ঐতিহ্য প্রদর্শন করা হয়।

ঠাকুরগাঁওয়ে শনিবার সকাল ১০টায় হাতি-ঘোড়া নিয়ে কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। আনন্দ শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে বড় মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুষ্টিয়ায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর উপজেলার আমলা সরকারি ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়।

শোভাযাত্রায় আমলা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহব্বত আলীর নেতৃত্বে কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা
অংশগ্রহণ করেন। ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় শোভাযাত্রা।  ছবি: বাংলানিউজবরগুনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।   শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতাসহ একটি আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালি শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভোলায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার সকালে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠ থেকে আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকাল ১১টায় শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে পৌর মুক্ত মঞ্চে গিয়ে জড়ো হয়। সেখানে এক আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়।
৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় শোভাযাত্রা।  ছবি: বাংলানিউজর‌্যালিতে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার লোক অংশগ্রহণ করে।

ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে উজির আলী স্কুল মাঠে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জয়পুরহাটে সকাল ১০টায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।

পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।    
 
কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পাকুন্দিয়ায় কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনের নেতৃত্বে র‌্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।  

মাদারীপুরে সকাল ১০টা থেকে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন আনন্দ র‌্যালি বের করে।

এছাড়া মাদারীপুর শহরের লেকপাড়ে স্বাধীনতা অঙ্গন থেকে একটি আনন্দ র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্বাধীনতা অঙ্গনে এসে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে স্বাধীনতা অঙ্গনে বিভিন্ন শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও জেলার শিবচর, কালকিনি ও রাজৈর উপজেলায় আনন্দ র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মৌলভীবাজারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে একটি র‍্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর জনমিলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।

র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

খাগড়াছড়িতে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শোভাযাত্রায় স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আলী আহমদ খানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বান্দরবানেও আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মুফিদুল আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল আলম প্রমুখ।

রাঙামাটিতে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য দীপংকর তালুকদার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এস এম শফি কামাল, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন।

এছাড়া নাটোর, পাবনা, নীলফামারী, হবিগঞ্জ, নওগাঁ, নোয়াখালী, রাজবাড়ী, জামালপুর, নরসিংদী, মাগুরা, লালমনিরহাট, শেরপুর, নেত্রকোনা, মেহেরপুর, শরিয়তপুর জেলাসহ ঢাকার ধামরাই, কেরানীগঞ্জ, টাঙ্গাইলের মধুপুর ও বরগুনার পাথরঘাটায় আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭
এনটি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।