২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বিজয় দিবসের আগেই পিলারের উপর দু’টি স্প্যান বসবে বলে আশাবাদী পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা।
পদ্মাসেতু প্রকৌশলী সূত্র বাংলানিউজকে বলেন, জাজিরা প্রান্তে পদ্মাসেতুর ৩৯ নম্বর পিলারের ফাইনাল ধাপের ঢালাই শেষ। চলতি মাসের শেষের দিকে ৩৯ নম্বর পিলারটি স্প্যান বসানোর উপযোগী হলেও ৪০ নম্বর পিলারের ঢালাই শেষ হতে ডিসেম্বর মাস লাগবে। ফাইনাল লেয়ারের রড বাঁধাইয়ের কাজ চলছে ৪০ নম্বর পিলারে। ৪২ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপ ঢালাই শেষ এবং পিলারের রড বাঁধাইয়ের কাজ শুরু হবে এই সপ্তাহে।
এছাড়া ৪২ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপ ঢালাই শেষ। খুব শিগগিরই পিয়ার কলামের রড বাঁধাইয়ের কাজ শুরু হবে। এর পরে পিয়ার কলামের প্রথম ধাপের ঢালাই শুরু হবে। এসব কাজে বিশেষজ্ঞ প্যানেল নিখুঁতভাবে যাচাই বাছাই করে পরামর্শ এবং সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
এদিকে, ৪১ নম্বর পিলারের পাইল পরশনের কাজ চলছে। পুরোপুরি পাইলটি উপযোগী হতে চলতি বছর লেগে যাবে। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে পাইল ক্যাপের কাজ শুরু হবে। মাওয়ার কুমারভোগ ওয়ার্কশপে ৭বি ও ৭সি নামের দুইটি স্প্যানকে ক্লিনিং করার কাজ চলছে, এরপর শুরু হবে পেইন্টিংয়ের কাজ। শেষ ধাপে রংয়ের কাজ শেষ হলে মাওয়া থেকে জাজিরা প্রান্তে নিয়ে আসা হবে।
পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ ৫১ দশমিক ২০ শতাংশ, নদীশাসন ৩৪ শতাংশ এবং সেতুর দুইপাশের অ্যাপ্রোচ রোড শতভাগ শেষ হয়েছে।
সেতুর একটি স্প্যান ইতোমধ্যেই বসানো হয়েছে এবং আরও একটি স্প্যান ডিসেম্বরের মধ্যেই বসবে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ