শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে শহরের গুদাম চত্বরে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
খোরশেদ রামগঞ্জ পৌরসভার ট্রাক চালক।
পৌরসভা কর্মচারী সংসদের লক্ষ্মীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হেলাল বলেন, খোরশেদ আলম সকালে বালুয়া চৌমুহনী বাজার এলাকায় আবর্জনা ফেলে ফেরার সময় খাদ্য গুদামের সামনে এসে জ্যামে পড়েন। এসময় এসআই ফারুক আহম্মেদ পেছন দিক থেকে এসে খোরশেদকে গাড়ি থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। একপর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে সড়কের ওপর ফেলে চলে যায় ওই পুলিশ। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত খোরশেদ আলম বলেন, এসআই ফারুক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কালো চশমা পড়ে এসে কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে ২৫ থেকে ৩০টি ঘুষি দেয়। বিষয়টি আমি মেয়রকে জানিয়েছি, এঘটনায় আমি মামলা করবো।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খোরশেদ আলম বলেন, সড়ক সংস্কারের কাজ চলায় জ্যামে পড়তে হয়েছে। হঠাৎ পেছন দিক থেকে পুলিশের ওই কর্মকর্তা হর্ন দিলেও যানজটের কারণে সাইড দিতে পারিনি। যার কারণে তিনি আমাকে মারধর করেছেন।
অভিযুক্ত রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহম্মেদ বলেন, খোরশেদের ট্রাকে লুকিং গ্লাস ছিল না। সে না দেখে আমাকে চাপা দেয়। এনিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে পেটানোর অভিযোগটি সত্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
বিএস