শনিবারে (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর আগে ভোর ৬টার দিকে দর্শনা হল্ট স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার দায়ে মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও ট্রেন পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত ও ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা শওকত জামিলকে প্রধান করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর খুলনার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর ১টার দিকে রিলিফ ট্রেন দর্শনায় পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করলে বিকেল ৩টার দিকে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
দর্শনা স্টেশন সূত্র জানায়, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী একটি ট্রেন পার্বতীপুর অভিমুখে যাচ্ছিল। ট্রেনটি শনিবার ভোর ৫.৫০ মিনিটে দর্শনা হল্ট স্টেশনে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর আরেকটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হয় তেলবাহী ট্রেনের চালক রায়হান হাসানসহ তিনজন।
তেলবাহী ট্রেনের চালক রায়হান হাসানের দাবি, তিনি সিগন্যাল মেনেই দর্শনা হল্ট স্টেশন অতিক্রম করছিলেন। কিন্তু বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী ট্রেনের চালকের ভুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দর্শনা স্টেশন মাস্টার হাফিজুল ইসলাম জানান, ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে যাওয়ার কথা থাকলেও ভুল করে তারা হল্ট স্টেশনে ঢুকে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার পর স্টেশনের কোথাও মাস্টারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (পশ্চিমাঞ্চল) শওকত জামিল বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে মালবাহী ট্রেনের চালক জুয়েলের ভুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ কারণে চালক জুয়েলসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে দুর্ঘটনার সঙ্গে আর কারো দায়িত্ব অবহেলার সতত্যা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, দর্শনা হল্ট স্টেশনে দুর্ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, কোটচাঁদপুর ও যশোর স্টেশনে কপোতাক্ষ, রুপসাসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তির শিকার হন।
** ২ ট্রেনের সংঘর্ষ, খুলনার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
আরবি/