ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমিকার ভাইয়ের হাতেই খুন হন কলেজছাত্র নয়ন

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
প্রেমিকার ভাইয়ের হাতেই খুন হন কলেজছাত্র নয়ন

রংপুর: ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দাবি করলেও রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কলেজছাত্র আল আমিন ওরফে নয়নকে (২২) নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তারই প্রেমিকার ভাই।

২০১৪ সালে রংপুরের সেই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পর আসল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
 
নয়ন পীরগাছার সোনারা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ও গাইবান্ধা সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শনিবার (২৫ নভেম্বর)  পিবিআই-এর রংপুর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।  

পিবিআই রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার
বলেন, নয়ন হত্যাকাণ্ডটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে রেল লাইনে মরদেহ রেখে দিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচারণা চালানো হয়।  
‘এ ঘটনায় নিহত নয়নের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল ছয়জনকে আসামি করে বোনারপাড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়। ’ 

তিনি বলেন, মামলাটি প্রথমে বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশ ও পরে সিআইডি এবং সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তথ্যগত ভুল জমা দেওয়া হয়।  

‘পরবর্তীতে বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তভার পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারভুক্ত আসামি জুয়েলকে গত ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়। ’

পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর ভিত্তিতেই ২৪ নভেম্বর অপর আসামি তুষারকে গ্রেফতার করা হয়।  
গ্রেফতার দুই আসামি হলেন- পীরগাছা থানার তাম্বুলপুর গ্রামের মৃত জলিল ফকিরের ছেলে জুয়েল (২৮) এবং একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে তুষার (২২)।

মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, নিহত নয়নের সঙ্গে তাম্বুলপুর ফকিরপাড়া গ্রামের জলিল ফকিরের মেয়ে রুনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু বিষয়টি রুনির পরিবার মেনে নেয়নি। হত্যার আগে আসামিরা নয়নকে বিভিন্নভাবে হুমকিও দিয়ে আসছিলো।
 
পিবিআই সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল রাতে রুনি মোবাইল ফোনে নয়নকে তার বাড়িতে যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর জুয়েলসহ অন্যান্য আসামিরা নয়নকে আটক করে। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।  

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখে এবং ট্রেনে কাটা নিশ্চিত করে আসামিরা বাড়ি ফিরে যায়।
 
তিনি বলেন, এখনও মামলার তদন্ত চলছে। এ জন্য এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।