পরিকল্পনা ছিল আবুল খায়ের গ্রুপ কিংবা স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়। কিন্তু মাসুদ অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় এবং মুক্তিপণের জন্য কোম্পানী কিংবা স্বজনদের ফোন না করায় তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা শাখার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ।
পুলিশ সুপার আরও জানায়, এ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত কাপ্তানবাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি মাইনুল হাসান মান্না ও তার সহযোগী জসিম উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে মাসুদকে হত্যা করেছে বলে পিবিআই কর্মকর্তাসহ এবং আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীর নতুন চৌধুরী পাড়ায় সুমন ভিলার তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে আবুল খায়ের গ্রুপের কুমিল্লা অঞ্চলের মার্কেটিং ইন্সপেক্টর ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণপুর গ্রামের শামছুল হক মজুমদারের ছেলে মাসুদুর রহমান মজুমদারকে ১৯ নভেম্বর (রোববার) রাতে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর পিবিআই মামলার তদন্তে নামে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এবং মোবাইল ট্র্যাকিং করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মান্না ও জসিম উদ্দিন নামে দুই জনকে গ্রেফতার করে।
মান্না নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার জিয়া উদ্দিনের ছেলে এবং জসিম কুমিল্লা সিটির ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং তার সহযোগী জেলার আদর্শ সদর উপজেলার মাঝিগাছা নন্দিরবাজার এলাকার তাহেরের ছেলে।
এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ২টি ছুরি, রশি ও চেতনানাশক ইনজেকশন, খেলনা পিস্তল এবং জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রাম থেকে নিহত মাসুদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পিবিআই।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মান্না ও জসিম হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন। ওই চক্রটি এর আগেও নগরীতে একই ধরনের প্রতারণা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পিবিআই কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এএম/এমআরএম/এসআরএস