ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রঙিন আলোয় ভরা রাতের ঢাকা

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
রঙিন আলোয় ভরা রাতের ঢাকা বিজয় সরণি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাজপথ এখন আলোয় ঝলমল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আলোর ঝলকে আনন্দময় এখন রাতের ঢাকা। দিনের আলো নামলেই জ্বলে উঠছে হাজারো রঙিন বাতি। রাস্তা-ফ্লাইওভার জুড়ে এ আলোর খেলায় অন্যরকম সাজে মেগাসিটি ঢাকা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় বর্ণিল এ আলোকসজ্জার কাজ করেছে ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ’।
 
গত এক বছর ধরে নিজস্ব অর্থায়নে বনানী-বিমানবন্দর সড়কের বিউটিফিকেশনের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।


 
ভিনাইল ওয়ার্ল্ড জানায়, সাতই মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উদ্‌যাপনে নিজস্ব অর্থে এ আলোকসজ্জার কাজ করে দিয়েছে তারা।
 
রেডিসন হোটেলের পাশে ডিজিটাল স্ক্রিনে চলছে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া জাতির জনকের ভাষণ।                                          ছবি: বাংলানিউজভিনাইল ওয়ার্ল্ডের সিইও আবেদ মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাতই মার্চের ভাষণ জাতিগতভাবে আমাদের গর্ব। এ গর্ব উদ্‌যাপনে শামিল হওয়াটা অনেক বড় বিষয়’।
 
‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) সঙ্গে যৌথভাবে আলোকসজ্জার কাজ করেছে’।

ডিএনসিসি’র সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির সদস্য আবেদ মনসুর আরও জানান, বিজয় সরণি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাজপথে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এর মধ্যে মহাখালী, বনানী-কালশী ও কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর-নিচের অংশ আলাদাভাবে আলোকোজ্জ্বল করা হয়েছে। এ আলোকসজ্জার মাধ্যমে রাতের ঢাকাকে আরও মাধুর্যময় করে তোলা হলো।

আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পর্যন্ত এ আলোকসজ্জা রাখা হতে পারে বলেও জানান আবেদ মনসুর।

বিজয় সরণি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, পুরো সড়কপথ আলোয় ঝলমল করছে। নানা আলোর রেখায় রাতেও জেগে থাকছে রাস্তাগুলো। সবচেয়ে বেশি দৃষ্টিনন্দন হয়েছে কুড়িল, বনানী ও মহাখালী ফ্লাইওভার। আলোভরা পথ ধরে চলছে শত শত যানবাহন। রেডিসন হোটেলের পাশে ডিজিটাল স্ক্রিনে চলছে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া জাতির জনকের ভাষণ।
 
বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় শনিবার (২৫ নভেম্বর) আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’- ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো)। ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
 
বৈশ্বিক গুরুত্ব আছে, এমন ডকুমেন্টগুলোকে ওই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। ডকুমেন্টগুলো সংরক্ষণ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে জানানোর ব্যবস্থা করাই এর উদ্দেশ্য। বর্তমানে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’  তালিকায় সব মহাদেশ মিলে ৪১৭টি ডকুমেন্ট রয়েছে।
 
৭ মার্চের ভাষণকে ‘বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে আবেদন জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। ওই ভাষণে কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এসএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।