রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রোগী মারা যাওয়ার পর ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নগরের কাউনিয়া এলাকার মো. জালাল জমাদ্দারের ছেলে মো. কবির জমাদ্দার (৪৫) অসুস্থ হলে তাকে ২৪ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও স্টাফরা তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতাণ্ডা হয়। পরে মৃত ব্যক্তির ছেলে পাভেলসহ ২ স্বজনকে আটক করে মারধর করেন হাসপাতালের কর্মরতরা।
হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্সরা জানান, রোগী মারা যাওয়ার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু মরদেহ নেওয়ার সময় ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর স্বজন এসে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করে ওয়ার্ডে সাধারণ রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে সবাই এর প্রতিবাদ জানালে চিকিৎসকদেরও লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে তারা। এ সময় দু’জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
মৃত ব্যক্তির ছেলে পাভেল জানান, চিকিৎসক ও ওয়ার্ডের অন্য স্টাফরা তাকে আটক করে মারধর করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তিনি কথা বলতে চাইলেও কেউ তার কথা শোনেন নি।
ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডের ভেতরে ঝামেলা করলে গেট বন্ধ করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল কাদের, স্থানীয় কাউন্সিলর মজিবুর রহমান ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন, পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এমএস/আরআইএস/বিএস