ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেরোবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীরা চাঁদাবাজি-মারধরের শিকার 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
বেরোবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীরা চাঁদাবাজি-মারধরের শিকার  পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া বাস-ছবি-বাংলানিউজ

বেরোবি (রংপুর):  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা দফায় দফায় চাঁদাবাজি ও মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিয়োগ পাওয়া গেছে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশনে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে পরীক্ষার্থী নিয়ে যাওয়া পরিবহনগুলো থেকে স্থানীয় ও ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এসময় বাসের চালক ও হেল্পারদের টাকা না দিলে হুমকিও দেওয়া হয়।  

রাজশাহী থেকে সিয়াম স্পেশাল বাস রিজার্ভ করে এক কোচিং সেন্টারের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে এসেছেন সত্যজিৎ সরকার। তিনি বাংলানিউজকে অভিযোগ করেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছাত্রলীগ ও স্থানীয় বাসিন্দা বলে তিন দফায় আমার কাছ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে গেছে। টাকা দিতে না চাইলে পরীক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে শিক্ষার্থী নিয়ে গেছি। কোথাও এভাবে টাকা নিতে হয়নি। এখানে বাস দাঁড়ালেই টাকা দিতে হচ্ছে।

সরেজমিনে কয়েকটি পরিবহনের চালক-হেল্পারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিয়াম স্পেশাল থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, বগুড়া থেকে আসা জেবি ডিলাক্স থেকে মোট ১ হাজার ২০০ টাকা, একই এলাকা থেকে আসা সোনার তরী পরিবহন থেকে মোট ১ হাজার ২০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।

এসময় জেবি ডিলাক্স বাসে আসা এক শিক্ষার্থী টাকা না দেওয়ায় তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।  

এসব ঘটনায় দিনভর পরিবহন সংশ্লিষ্ট এবং পরীক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন বলে জানিয়েছেন। আসন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাগুলো নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি তিনি অবগত নন বলে জানান। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানান তিনি।  

বিশ্ববিদ্যালয় বহিরাঙ্গন শাখার পরিচালক রাফিউল আজম খান বাংলানিউজকে বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ঘটনা। এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেবে না। এরপরও তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) আবু কালাম মো. ফরিদ-উল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু জানে না।  

ইউনিটভিত্তিক এই পরীক্ষা চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।