হবিগঞ্জ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের উপ সহকারী কর্মকর্তা সঞ্জীব সরকারের স্ত্রী মল্লিকা সরকার এ ঘটনার শিকার হন।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর রোববার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মো. জাকারিয়াকে দায়িত্ব দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, রোববার দুপুরে হবিগঞ্জ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার চন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার, আল মাহমুদ, ঝন্টু রায়, সুমন ঘোষ, রূপক দাশ প্রমুখ।
হবিগঞ্জ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার চন্দ জানান, স্মারকলিপি দেয়ার পর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট কায়সার রহমান এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুচিন্ত চৌধুরী জানান, তিনি সরকারি কাজে ঢাকায় রয়েছেন। হবিগঞ্জে এসে ব্যবস্থা নেবেন।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা বলেন, বিষয়টি অমানবিক। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গৃহবধূ মল্লিকা দাসের স্বামী সঞ্জীব সরকার বলেন, আমার স্ত্রী এবং আমার পরিবার মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
উল্লেখ্য, ২৩ আগস্ট সিজারিয়ান অপারেশন করানোর জন্য মল্লিকাকে তার স্বামী চাঁদের হাসি হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়মানুযায়ী তাকে ভর্তি করে নেয়। ওইদিনই চিকিৎসক এসকে ঘোষ তার স্ত্রীর অপারেশন করেন। সিজারের সময় মল্লিকার পেটের ভেতরে একটি তোয়ালে রেখেই সেলাই করে দেন চিকিৎসক। এরপর মল্লিকাকে বাসায় নিয়ে গেলে কয়েকদিন পর থেকেই পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। ব্যথা বেশি হওয়ায় কয়েকদিন পর আবার চাঁদের হাসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মল্লিকাকে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলেন।
পরীক্ষায় তার পেটের ভেতরে কিছু রয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়। পরে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার পর শুক্রবার রাতে চিকিৎসক আবুল কালাম চৌধুরী হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে অপারেশন করে মল্লিকার পেটের ভেতর থেকে একটি তোয়ালে বের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ