নিহত রিক্তার স্বামী মোর্তুজা মোল্লা মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসা ও অফিসের নৈশ প্রহরী। তিনি স্বামীর সঙ্গে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টারে থাকতেন।
রোববার (২৬ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে হামলার শিকার হন তিনি। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
ইউএনও আবু নাঈম মো. মারুফ খান ও মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান জানান, রাত ২টার দিকে নৈশ প্রহরী মোর্তুজার বাসায় কেউ ঢুকে তার স্ত্রী রিক্তার গলায় ধারালো অস্ত্র চালায়। এ অবস্থায় রিক্তা তার শিশু কন্যা মিথিলা আক্তার লিমাকে নিয়ে কোনো মতে রুম থেকে বের হয়ে আসেন। খবর পেয়ে ইউএনও তার গাড়িতে করে তাকে প্রথমে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। গুরুতর অবস্থায় পরে রিক্তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মেয়েটির স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, নিহতের চাচা আলামিন মোল্লা জানান, পাঁচ বছর আগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি গ্রামের ইমামউদ্দিন ওরফে বাসু মোল্লার ছেলে মোর্তুজা মোল্লার সঙ্গে একই উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ী গ্রামের নুর আলম মোল্লার মেয়ে রিক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টাকা-পয়সাসহ খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মোর্তুজার সঙ্গে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি বিরোধ চরম আকার ধারণ করায় মোর্তুজা তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এসআই