কর্মবিরতির প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন সোমবারেও (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে কর্মবিরতিতে যান শিক্ষকরা এ কারণে বরিশাল বিভাগের ২৩ সরকারি কলেজে কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির বরিশাল জেলা কমিটির সম্পাদক মো. আকতারুজ্জামন খান বলেন, আন্দোলনের মূল বিষয় হলো শিক্ষা ক্যাডারে কোনরূপ পার্শ্ব-প্রবেশ চলবে না এবং বিসিএস রিক্রুয়েটমেন্ট রুলস ১৯৮১ এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাউকে ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন কলেজ জাতীয়করণ করছে, এটি নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ তাই এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। শুধু ওই কলেজগুলোতে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করার বিরোধিতা করা হচ্ছে। ওই কলেজগুলোর শিক্ষকরাও থাকবেন, তাদের বাদ দেওয়ার কোনো কথা বলা হচ্ছে না, তারা নন ক্যাডারভুক্ত পদমর্যাদায় থাকবেন।
পিএসসি’র মুখোমুখি না হয়ে ওই শিক্ষকরা ক্যাডারভুক্ত হলে, এখন যারা বিসিএস দিয়ে ক্যাডার আছেন তাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে বলে দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা।
ঝালকাঠি এবং পটুয়াখালীতেও সরকারি কলেজের শিক্ষকরাও কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করেছেন।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মো. বজলুর রশিদ বলেন, দেশের ২৮৩টি কলেজ সরকারিকরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই তবে ওইসব কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৯২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এমএস/এমজেএফ