ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৫৯৮৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ফ্ল্যাট নিশ্চিত, অপেক্ষায় ৩৩৬০

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
৫৯৮৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ফ্ল্যাট নিশ্চিত, অপেক্ষায় ৩৩৬০ ৪৪৮টি ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা (বাংলানিউজ ফাইল ফটো)

ঢাকা: গত মেয়াদের ২০০৯ সালের ০৬ জানুয়ারি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৮৬ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের ১৪ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। নিয়ম অনুসারে ফ্ল্যাটগুলো পাবেন রাজধানী ঢাকার ৫ হাজার ৩৪৬ জন ও চট্টগ্রাম নগরীর ৬৪০ জন চাকরিজীবী। 
 

সরকারি কাজের গতি বাড়াতে ঢাকা-চট্টগ্রামে তাদের জন্য  নতুন ৭টি প্রকল্পের আওতায় আরও ৩ হাজার ৩৬০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।  
 
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন-১) এস এম আরিফ-উর-রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বর্তমানে মাত্র ৮ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আবাসন সুবিধা ভোগ করেন।

তাদের আবাসন সমস্যার নিরসনে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে ৪৪৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, বাকি ৫ হাজার ৫৫৮টি চলমান। নতুন প্রকল্পগুলোর আওতায় আরও ৩ হাজার ৩৬০টি ফ্ল্যাট নির্মিত হবে’।
 
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকায় কর্মরত মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৫ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য ফ্ল্যাট ছিলো মাত্র ১৩ হাজার ৫২টি, যা মোট চাহিদার মাত্র ৯ শতাংশ। অন্যদিকে চট্টগ্রামের মোট ২৬ হাজার ৭৮ জন সরকারি চাকুরের জন্য ফ্ল্যাট মাত্র ২ হাজার ৩২৬টি।  
 
সারা দেশের সংখ্যা ১৩ লাখের মতো সরকারি চাকরিজীবীর তুলনায় আবাসন সুবিধা খুবই নগণ্য। আবার ক্ষেত্র ও স্থান বিশেষে সরকারি চাকরিজীবীদের বাড়িভাড়া হিসেবে দেওয়া ভাতার পরিমাণ বাস্তব ভাড়ার তুলনায় অনেক কম। ফলে তারা পরিবার নিয়ে রাজধানী বা বিভাগীয় শহরে বসবাস করতে পারেন না।  
 এ ধরনের ফ্ল্যাট পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা  (বাংলানিউজ ফাইল ফটো)
বিশেষ করে নিম্ন আয়ের বেশিরভাগেরই আবাসন সুবিধা না থাকায় গ্রামে বাস করছেন। মধ্যম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের অনেকেই সরকারের নির্ধারিত অঙ্কের চেয়েও বেশি বাড়িভাড়া দিয়ে সন্তান ও পরিবার নিয়ে শহরে বাস করছেন। প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও দেওয়া সরকারি আবাসন সুবিধা উল্লেখযোগ্য নয়।  
       
চলমান প্রকল্পগুলোতে নির্মাণাধীন ১ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটগুলো পাবেন যুগ্ম-সচিব/সম পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও তদুর্ধ্ব পদমর্যাদার সরকারি কর্মকর্তারা। আর ১ হাজার ২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের জন্য জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেড থেকে তদুর্ধ্ব স্কেলের যেকোনো সরকারি কর্মকর্তার আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
 
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তারা ৬০০ থেকে ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট পাবেন। প্রতিমাসের বেসিক বেতন অনুসারে ৬৫ শতাংশ ফ্ল্যাট ভাড়া বাবদ কেটে নেওয়া হবে। ফ্ল্যাটগুলোতে থাকবে কমন বাথরুম, কিচেন এবং ২/৩টি করে বেডরুম ও বারান্দা।  

প্রতিটি ভবনে লিফটের ব্যবস্থা থাকবে। ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থাসহ বিদ্যুতের আলাদা জেনারেটর ও সাব-স্টেশন এবং পানির পাম্প হাউস থাকবে। ঘরের মেঝের পাশাপাশি রান্নাঘর ও বাথরুমের দেয়ালে টাইলস ছাড়াও রান্নাঘরে কিচেন সেলফ এবং বাথরুমে ওয়াশ বেসিন, শাওয়ার, তোয়ালে রাখার বিশেষ স্থানসহ আয়না রাখার সুবিধা থাকছে।  

ভবনগুলোর মাঝখানে থাকছে প্রশস্ত রাস্তা, বিদ্যুৎ, ড্রেন ও পানি সরবরাহ লাইন। কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, মসজিদ, খেলার মাঠ এবং প্রাতঃভ্রমণে পার্কের সুবিধাও পাবেন বাসিন্দারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭ 
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।