মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) একটি জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এসব কথা বলেন।
দুই দিনব্যাপী ‘মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৫-২০১৭’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসন মানব পাচারের একটি নমুনা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের একার পক্ষে মানবপাচার রোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য দরকার ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ। মানবপাচার রোধে সরকার, সিভিল সোসাইটি এবং অন্য প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়াই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা দরকার।
মানবপাচার রোধে কর্মপরিকল্পনা তৈরির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা শনাক্ত করা হবে। সরকার সেগুলো নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবে। মানবপাচার প্রতিরোধে এন্টি ট্রাফিকিং অ্যাক্ট-২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সরকার উল্লেখযোগ্য কাজ করে যাচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জিল্লুর রহমান বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নমিতা হালদার বলেন, দেড় লাখেরও বেশি গৃহকর্মীকে বৈধ পথে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে। এরপরও তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক গৃহকর্মী পাচারের শিকার হন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক ও আমেরিকান এনজিও ইউএসএইড-এর মিশন ডিরেক্টর জেনিনা জেরুজেলেস্কি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭/আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা
এমএন/আরআর