মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান আসামি মুকুল হোসেনের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। আসামি নীলুফা মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
আসামি মুকুল হোসেনের বাড়ি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার ময়েনদিয়া শেখপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল ওয়াজেদ মোল্লা।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানাধীন আলীপুর ইটাভাটা ব্রিজের নিচে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর তিন টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানার এসআই গোলাম সারোয়ার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে আসামি মুকুল ঘটনার পরদিন সাভার থানায় একটি জিডি করেন। ১৩ ও ২০ জানুয়ারি দু’টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। স্ত্রী হত্যার পর আসামি মুকুলের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় হ্যাপির পরিবার পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুকুল স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পরে ২৮ জানুয়ারি মুকুল স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মুকুল জবানবন্দিতে বলেন, বিয়ের আগে নীলুফার বাসায় সাবলেট থাকার সময় তার সঙ্গে মুকুলের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
নীলুফা তার স্বামীর সঙ্গে দুই মেয়ে নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করতেন। এক পর্যায়ে আসামি মুকুল বিয়ে করে একই এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। তখনও তাদের পরকীয়া চলছিল। নীলুফা মুকুলকে প্রায়ই বলতেন বউ নিয়ে তার সামনে ঘোরেন এটা তার ভালো লাগে না। একদিন তিনি দু'জনের একজনকে খুন করবেন।
২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি নীলুফা ভিকটিম লাভলীকে নিয়ে মুকুলের কারখানায় যান। সে সময় কারখানায় বিদ্যুৎ না থাকায় কর্মচারীদের কেউ ছিল না। কারখানায় ঢুকেই নীলুফা ভিকটিমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরেন। মুকুল দৌড়ে গিয়ে ভিকটিম লাভলীর পা মাটির সঙ্গে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
নীলুফার পরামর্শে গুম করতে মরদেহ তিন টুকরা করে বস্তায় ভরেন মুকুল। এরপর দু’জন ট্যাক্সি করে কেরানীগঞ্জের ইটাভাটা ব্রিজের নিচে ফেলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এমআই/এএ